২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৩:৫১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
সৈয়দ আনোয়ার, হোমনা থেকে:
কুমিল্লার হোমনায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে শিক্ষক পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার দুপুরে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের মধ্যকান্দি বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন মধ্যকান্দি গ্রামের মরহুম তালেব আলী প্রধানের বড় ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ মো. ইসমাইল হোসেন প্রবাসীর স্ত্রী হালিমা বেগমকে একজন ‘উশৃঙ্খল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। অভিযোগে আরও বলেন, তার স্বামী বিদেশ থাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে সে সখ্যতা গড়ে তোলে। এতে বাধা দিতে গেলে সমাজের লোকজনের সঙ্গেও তার বিরোধ বাধে। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে বাধাদানকারী ব্যক্তিদের নামেও হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
গত কয়েক মাস পূর্বে তার উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদ করায় মো. ইসমাইল হোসেনের ভাই হানিফ মাষ্টার ও তার ছেলে মো. নোমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। গত ১৪ জুলই ডাকাতির নাটক সাজিয়ে তাকেসহ তার ছোট ভাই সাংবাদিক কাউসার ও ভাতিজা নোমানের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন এবং ২০ জুলই নিজের শরীর কেটে হোমনা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়াও সে অপ্রীতিকর আরও অন্য কোনো ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আবদুল হাকিম আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মহাসিন, বসুর মিয়া প্রধান, দাদন মিয়া প্রধান, বাবুল মিয়া, মো. খলিল মিয়া, হায়েত মিয়া, আবুল কাশেম, মাজেদুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ফারুক মিয়া ও মোশারফ হোসেনসহ এলাকার অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিচিৎসারত হালিমা বেগম জানান, ‘নোমান আমাকে নানা সময়ে ‘কু প্রস্তাব’ দিত। এ বিষয়টি তার বাবা ও চাচাকে জানালেও তারা এর কোনো বিচার করে নাই। পরে সে আমার কাছে উল্টা চাঁদা দাবি করে। এর জন্য গ্রামবাসীর কাছেও বিচার চেয়ে প্রতিকার না পেয়ে মামলা করি। কোর্টে হাজিরা দিয়ে এসেও হানিফ মাস্টারের ছেলে নোমান আমাকে হুমকি ধমকি দিয়েছে। ১৩ জুলই রাতে আমার ঘরের টিন কেটে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেছে। এ বিষয়েও নোমানের বাবা হানিফ মাস্টার ও তার বড় চাচা ইসমাইলকে জানালে তারাও কোনো সদুত্তর দেয় নাই। ২০ জুলই পুনরায় নোমান ঘরের টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে, সে ছোরা দিয়ে আমাকে আঘাত করে। এতে আমার মাথায় ও হাতে বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। শরীরের অন্য স্থানেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে তদন্ত করে। পুলিশ বলেছে, আগে সুস্থ হন। অভিযোগ দেওয়া যাবে। আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। তার বিরুদ্ধে আমার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য আক্রমণ করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২০ জুলই (বুহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ডাকাতির ঘটনায় ট্রিপল ৯৯৯ -এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। সেখানে গিয়ে ডাতাতির কোনো লক্ষণ পাওয়া যায় নাই। তবে তার (হালিমা) শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।
Leave a Reply